কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায়
কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায় নিয়ে এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কোরিয়ানরা নিয়মিত প্রচুর পানি পান করে। তারা নিয়মিত শরীর চর্চা করে আমাদের মত অলসতা পছন্দ করে না। তারা ডায়েট অনুযায়ী খাবার খেয়ে থাকে। বার্লি চা ঠান্ডা এবং গরম চা দুইভাবে খেয়ে থাকে।
কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায় হচ্ছে, তাদের মতো প্রাকৃতিকভাবে সম্পূর্ণ,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাতের খাবার, এবং প্রচুর শাকসবজি খাওয়া।
গাঁজানো বাধাকপির থালা হচ্ছে কোরিয়ানদের একটি প্রধান খাবার। তারা
প্রতিদিনই খাবারের সাথে আপেল এক চামচ মিষ্টি
ছাড়া চিনাবাদাম মাখন এবং গ্রিক দই খেয়ে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আজকের পোস্ট পড়ে যা যা জানতে পারবেন
- কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায়
- কোরিয়ানদের মতো সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায়
- কোরিয়ানদের রূপের রহস্য সম্পর্কে জানুন
- কোরিয়ান মেয়েদের মত ত্বক পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
- চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়
- চুলের যত্নে কোরিয়ান রুটিন সম্পর্কে
- কোরিয়ানদের মতো ফিটনেস বজায় রাখার উপায়
- কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায়-শেষ কথা
কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায়
কোরিয়ানদের খাবারের মধ্যে মূল ভিত্তি হলো, তারা ন্যূনতম প্রক্রিয়াজত খাবার এবং প্রচুর শাকসবজি খেয়ে থাকে। কোরিয়ানরা কাঁচা রান্না করা এবং গাঁজানো খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকে। যার ফলে স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে সাহায্য করে। কোরিয়ানরা শুধুমাত্র রূপচর্চার কাজেই দক্ষ না, তারা ওজন নিয়ন্ত্রণেও অনেক সফল। কোরিয়ানরা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে থাকে। আপনি ওজন কমাতে চাইলে, বা তাদের মত ফিট থাকতে চাইলে, কোরিয়ানদের সেসব স্বাস্থ্যকর উপায় গুলো ফলো করতে পারেন।
ওজন ঠিক রাখতে প্রয়োজন মত খাওয়া দাওয়া এবং অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু শুধুমাত্র
এগুলো করে আপনি আপনার ওজন কন্ট্রোল করতে পারবেন না। কেননা আমাদের দেশের
মানুষ বেশিরভাগই অলস। আমাদের দেশের মানুষ অলসতা বেশি পছন্দ করে।কোরিয়ানরা
তাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করে
থাকে। তারা তাদের শরীরের উপর প্রচুর যত্নশীল। কোরিয়ানরা তাদের শরীর সুস্থ
এবং ফিট রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। চলুন এবার তাদের স্বাস্থ্যকর কিছু
পানীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বার্লি চাঃ কোরিয়ানরা সাধারণত বার্লি চা ঠান্ডা এবং গরম দুইভাবেই
খেয়ে থাকে। ভাজা বার্লি দানা থেকে এই পানীয় তৈরি করা হয়।
বার্লি চায়ে প্রচুর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। এটি হালকা তেতো হয়ে
থাকে। কিন্তু এর উপকারিতা অনেক। ওজন কমানো থেকে ক্লান্তি দূর, প্রদাহ এবং
ডায়রিয়া প্রতিকার হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
গ্রিন টিঃ কোরিয়ানরা রোস্ট করা ব্রাউন রাইস এর সাথে গ্রিন
টি মিশিয়ে খেয়ে থাকে। কোরিয়াতে এটি নোকচা নামে
পরিচিত।এই গ্রীন টি প্রচুর পুষ্টিকর পানীয়। এই নোকচাতে প্রচুর পরিমাণে
এন্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কোরিয়ান আদা চাঃ কোরিয়ানদের এই আদা চা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।কোরিয়ানদের ভাষায় এই চা-কে "সেং গাং চা" বলে। এই চা মূলত আদা এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয়। এই পানীয়টি ওজন কমাতে এবং ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
কোরিয়ান ইওনিপ চাঃ কোরিয়ানরা মূলত সাদা পদ্ম ফুল ব্যবহার করে এই চা তৈরি করে। এ চায়ে ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এই চা ব্লাড পিউরিফাই রাখতে সহায়তা করে। ঘুমের সমস্যা দূর করে।
গুল চাঃ কোরিয়ানদের গোলাপ চা অথবা গুল চা একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি আপনি অনায়াসেই আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি ওজন ঠিক রাখতে অনেক সাহায্য করে। কোরিয়ানরা মূলত কেশর এবং গোলাপের পাপড়ি দিয়ে এই চা তৈরি করে। এই চা খেলে দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম
কোরিয়ানদের মতো সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায়
দক্ষিণ কোরিয়া সংস্কৃতি অনেক দেশের মানুষের কাছে খুবই
আকর্ষণীয়। অনেকেই কোরিয়ানদের খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে রূপচর্চা,
ফ্যাশন ইত্যাদি অনেক কিছু অনুসরণ করে থাকে। কোরিয়ানদের এত সুন্দর ত্বক সবার
কাছেই বিস্ময়কর। তাদের রূপের সৌন্দর্যের রহস্য অনেকেরই অজানা। অনেকেই জানে
না, যে কোরিয়ানরা কিভাবে তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখে। চলুন এবার সেই
বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিনঃ একদিন যত্ন নিলেন, আরেকদিন নিলেন না
অথবা এক সপ্তাহ ধরে আর ত্বকের যত্নই নিলেন না, এভাবে হবে না। আপনাকে
প্রতিদিন নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর
মধ্যে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং হচ্ছে অন্যতম। রাতে ঘুমানোর ১৫
মিনিট আগে আপনার ত্বক ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে করে
আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
পর্যাপ্ত পানি পানঃ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোরিয়ানরা প্রচুর পরিমাণে পানি খেয়ে থাকে। যাতে করে তাদের ত্বক ময়েশ্চারাইজিং থাকে। কিন্তু শরীরে যাতে ডিহাইড্রেট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়ামঃ কোরিয়ানরা তাদের ফিগার ধরে রাখতে খুবই সচেতন। সেজন্য তারা প্রতিদিন কার্ডিও এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকে। তারা প্রচুর কঠোর পরিশ্রম করে। ব্যায়াম করে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যই খালি ভালো থাকে না, ব্যায়াম ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
চাল ধোয়া পানিঃ কোরিয়ানরা প্রতিদিন চাল ধোয়া পানি মুখে
মাখে। অর্থাৎ চাল ধোয়ার পর সেই পানিতে ৩০ মিনিট চাল ভিজিয়ে রাখুন। তারপর
সেই পানি সংগ্রহ করে বোতলে ভরে রাখুন। তারপর সেই পানি মুখে স্প্রে করুন। এর
ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।
এলোভেরা জেলঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এলোভেরা জেল দিয়ে মুখে মালিশ করুন।কোরিয়ানরা নিয়মিত মুখে এলোভেরা জেল ব্যবহার করে। মধু, লেবুর রস, হলুদ এবং এলোভেরা জেল পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার মুখ উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
খাদ্যর তালিকায় খেয়াল রাখুনঃ প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় প্রচুর
পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে।শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। এতে ভিটামিন
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কোরিয়ানরা প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি খেয়ে থাকে। যা
খেলে তাদের ত্বক এমনিতেই উজ্জ্বল থাকে।
কোরিয়ানদের রূপের রহস্য সম্পর্কে জানুন
কোরিয়া সংস্কৃতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি বিষয়। KPop, খাওয়া-দাওয়া, ফ্যাশন এবং রূপচর্চা সবকিছুতেই বিশ্বের নজর কারে কোরিয়ানরা। তাদের সামগ্রী সংস্কৃতির মধ্যে এবং জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে কোরিয়ানদের রূপের রহস্য।সুন্দর ত্বক নিয়ে কথা হবে, আর সেখানে কোরিয়ানদের প্রসঙ্গ উঠবে না, এটা অসম্ভব। কোরিয়ানরাই বিশ্বের মহিলাকুলের হাতে বিবি ক্রিম, শীটমাক্স, এবং ডারমা রোলার এর মত অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তাদের নিখুত্ত ত্বক চীনামাটিকেও ফেল করাবে। তাদের স্কিন কেয়ার এবং সৌন্দর্যের রহস্য সবাই জানতে চায়। কোরিয়ানরা প্রতিদিন তাদের ত্বকের যত্ন নেয়। তার প্রতিনিয়তই ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং করে থাকে।
প্রতিদিন কোরিয়ানরা ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাক্স ব্যবহার করে। প্রতি সপ্তাহে তারা এক থেকে দুই দিন স্ক্রাবিং করে থাকে। তারা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে, যার ফলে তাদের ত্বকের ময়েশ্চারাইজিং ধরে রাখে। কোরিয়ানরা বেশিরভাগ কার্ডিও এবং ওয়েট ট্রেনিং করে থাকে। কোরিয়ানরা অল্প মেকআপ করতে পছন্দ করে। তারা তাদের আসল রংটাই ধরে রাখতে চায়। অতিরিক্ত হাইলাইটের ব্যবহার করে না। তারা লুকের জন্য লিপস্টিক আর প্যাটেল সেড ব্যবহার করে। আপনি যে দেশের মানুষ হোন না কেন, সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নজর দিতে হবে। নিজের যত্ন নিন, ভালো থাকুন।
কোরিয়ান মেয়েদের মত ত্বক পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
কোরিয়ান মেয়েরা গ্লাসের মতো চকচকে এবং নিখুত ত্বকের জন্য বিশ্বব্যাপী
পরিচিত। গ্লাস স্কিন হচ্ছে এমন এক ধরনের স্কিন কেয়ার, যা ত্বককে
উজ্জ্বল দেখায় এবং স্বচ্ছতার জন্য কাঁচের মতো প্রতিফলিত করে। এটি
কোরিয়ানদের একটি জনপ্রিয় সৌন্দর্যের উন্মাদনা, যা বিশ্বজুড়ে পরিচিত। পরিষ্কার
বর্ণ, মসৃণ গঠন এবং মোটা ত্বক হিসেবে গ্লাস স্কিনকে বোঝানো হয়।
কোরিয়ানদের মতো এইরকম স্কিন পেতে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিতে পারেন। চলুন জেনে
নেওয়া যাক।
রোজশিপ তেলঃ প্রাকৃতিক উপায়ে গ্লাস স্কিন পেতে
রোজশিপ তেল ব্যবহার শুরু করুন। রোজশিপ হচ্ছে গোলাপের
ফল। বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় এবং ত্বকের সমস্যায় এই ফলটি ব্যবহার করা
হয়। রোজশিপ তেলে রয়েছে ওমেগা-থ্রি, ভিটামিন 'ই' এবং ভিটামিন 'এ'।
যেগুলো ত্বকের দাগ দূর করতে সহায়তা করে। এই তেল সব ধরনের ত্বকের জন্য
উপযোগী। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে তিন থেকে চার ফোঁটা রোজশিপ তেল লাগিয়ে
ঘুমাবেন, সকালে উঠে ধুয়ে ফেলবেন। 8 থেকে 10 দিনের মধ্যে এর পার্থক্য বুঝতে
পারবেন।
চিনির স্ক্রাবঃ চিনির স্ক্রাব এমন একটি সমাধান যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার
জন্য সাহায্য করে। এটি স্কিনের মৃত কোষ গুলো দূর করে, কোর্সের
টার্ন বাড়ায় এবং ত্বকের উন্নতি করে যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বক চকচক করতে
সাহায্য করে। সাদা এবং বাদামী চিনি আদা চামচ নিয়ে সামান্য পানি মিশাতে হবে,
এই মিশ্রণটি আপনার স্কিনে লাগিয়ে রাখুন। তারপর কুসুম গরম পানি
দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
মধুঃ কোরিয়ানদের মতো ত্বক পেতে চাইলে আপনার স্কিনে মধু ব্যবহার করতে হবে। মধুতে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী উপাদান শুধুমাত্র ত্বকের জন্যই না, চুলের জন্য উপকারী। খাঁটি মধু ব্যবহার করতে হবে, কেননা খাঁটি মধুতে পুষ্টি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থকে। এটি আপনার ত্বককে সুন্দর এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ দারচিনি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ঘন পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সাবান
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়
রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণ আমন্ড তেল চোখের নিচে আলতোভাবে মালিশ করে রেখে
দিতে হবে। টি ব্যাগ ব্যবহার করার পর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে, সেটি চোখ বন্ধ
করে চোখের উপর ১০ মিনিট দিয়ে রাখুন। প্রতিদিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে চোখের
নিচে কালো দাগগুলো দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে এক টুকরো কাপড়ে ছোট আইসবার নিয়ে
তিন থেকে পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে কুল কম্প্রেস ফোলা ভাব
কমাবে এবং রক্তনালী সচল রাখবে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য ভিটামিন
'সি' সমৃদ্ধ সিরাম এক ফোটা করে প্রতিদিন রাতে দুই চোখে ব্যবহার করতে
পারেন।
কিভাবে চোখের নিচে দাগ কমাবেন? প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা সম্পূর্ণভাবে ঘুমাতে হবে। সঠিকভাবে বিশ্রাম নিলে আপনার শরীরের ত্বকের কোষ গুলো মেরামত হবে এবং সুন্দর হবে। চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে প্রাকৃতিকভাবে প্রয়োজন কোল্ড কমপ্রেস, শসার টুকরো এবং একটি টি ব্যাগ। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করতে হবে এবং খাদ্যাভ্যাসে জীবনযাত্রার মতো পরিবর্তন আনতে হবে। এগুলো নিয়ম মেনে আপনি প্রাকৃতিকভাবে চোখের নিচের কালো দাগ চিরতরে দূর করতে পারবেন।
চুলের যত্নে কোরিয়ান রুটিন সম্পর্কে
কোরিয়ান মেয়েদের ত্বক এবং চুল অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। বিশ্বের সব দেশের
নারীরা কোরিয়ান মেয়েদের সৌন্দর্য চর্চার রুটিন সম্পর্কে জানতে চান। অনেকে
সেগুলোর রুটিন মেনে রূপচর্চা করে থাকেন। কোরিয়ান নারীরা তাদের সৌন্দর্য বাড়াতে
স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করে থাকেন। এছাড়াও নানান নিয়ম কানুন মেনে
চলেন। সেগুলো ফলো করে অনেকে ভালো ফলাফল পেয়েছেন।চলুন সেই সম্পর্কে
আলোচনা করা যাক।
স্ক্যাল্প ম্যাসাজঃ নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে স্ক্যাল্পের রক্ত চলাচল ভালো হয়। যার ফলে নতুন গজায় এবং চুল পড়া সমস্যা দূর হয়। তুলে দেওয়ার সময় আঙুলের ডগা দিয়ে ভালোভাবে মালিশ করে তেল দিতে হবে। এর ফলে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে তেল পৌছাবে। এখন বাজারে শ্যাম্পু করার জন্য ম্যাসাজ ব্রাশ পাওয়া যায়। এই শ্যাম্পু ব্রাশ আপনার স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো এবং চামড়ার ময়লা তুলতে সাহায্য করবে।
হেয়ার মাক্সঃ হেয়ার মাক্স সপ্তাহে একদিন হলেও ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে আপনার চুল উজ্জ্বল হবে। কোরিয়ানদের ভালো কিছু ব্র্যান্ড হচ্ছে- ইন্নিসফ্রি, ন্যাচার রিপাবলিক, স্ক্রিন সুডের ইত্যাদি হেয়ার মাক্সগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এছাড়াও ঘরোয়া কিছু এয়ার মাক্স ও আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। দুই চামচ ভাতের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল এবং চাল ধোয়া পানি ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপরে সেটি আপনার চুলে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখতে হবে।
মরোক্কান হেয়ার অয়েলঃ বেশিরভাগ নামিদামি করিয়ান পণ্যের মূল
উপাদান হচ্ছে মরোক্কান হেয়ার ওয়েল। একটি আপনার চুলকে সবসময়
হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে। যার ফলে আপনার চুল ঝলমলে এবং সুন্দর থাকবে।
কোরিয়ানরা সাধারণত খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু করে না। আর ঘনঘন শ্যাম্পু করা
চুলের জন্য ভালো না। এতে করে চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চুল দিলে ধীরে
রোক্ষ এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। চুল কখনো গরম পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না।
সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন দিন শ্যাম্পু করা ভালো। গোসলের পর আলতোভাবে চুল মুছতে হবে।
বেশি জোরে জোরে ঘুষে চুল মুছলে আগা ফেটে যাবে এবং চুল ধরে পড়া সম্ভাবনা
থাকবে। এগুলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে আপনার চুল কোরিয়ানদের মত
সুন্দর হবে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
কোরিয়ানদের মতো ফিটনেস বজায় রাখার উপায়
কোরিয়ানরা তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, কারণ তারা সবসময় বাড়ির খাবার কে
বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।তারা ফাস্টফুড, বাজারে প্রক্রিয়াজাত এবং
তেল-মসলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকে। এর ফলে তাদেরকে কোনো জঙ্কফুড কাবু করতে
পারে না। কোরিয়ানরা কখনোই পেট ভরে খাবার খায় না, তারা পেটের কিছুটা অংশ
ফাঁকা রেখে খাবার খেয়ে থাকে। কোরিয়ানরা সাধারণত সবজি খেতে বেশি
পছন্দ করে। শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোরিয়ানদের ট্রাডিশনাল খাবার হচ্ছে কুইসিন। তারা
সামুদ্রিক মাছও খেয়ে থাকে।
কোরিয়ানদের ফিট নিচে বড় রহস্য হচ্ছে, তারা সবসময় নিয়ম মেনে
চলে। খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে তারা নিয়ম পালন করে। তারা
টাইম মতো নির্দিষ্ট টাইমে খাবার খেয়ে থাকে। ঘুমানোর অনেকক্ষণ আগে তারা খাবার
খেয়ে নেয়। যাতে করে খুব সহজে খাবার গুলো হজম হয়ে যায়। তারা স্বাস্থ্যকর খাবার
খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন হাটাহাটি করে। তারা সবসময় নরম জুতা বা সেন্ডেল
পড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ হাঁটাহাঁটি করা
কোরিয়ানদের অভ্যাস। তাই ফিটনেস এর দিক দিয়ে তারা সেরা। আপনি চাইলে
এগুলো নিয়ম পালন করে কোরিয়ানদের মতো ফিটনেস বজায় রাখতে পারেন।
কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায়-শেষ কথা
কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকে পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আরো বিভিন্ন উপায় নিয়ে আজকের পোস্টে সম্পূর্ণভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে এই নিয়মগুলো পালন করে আপনার সৌন্দর্য এবং ফিটনেস কোরিয়ানদের মতো পারবেন।কোরিয়ানরা নিয়মিত প্রচুর পানি পান করে। তারা নিয়মিত শরীর চর্চা করে আমাদের মত অলসতা পছন্দ করে না।তারা ডায়েট অনুযায়ী খাবার খেয়ে থাকে। কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায় হচ্ছে, তাদের মতো প্রাকৃতিকভাবে সম্পূর্ণ, ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাতের খাবার, এবং প্রচুর শাকসবজি খাওয়া।
কোরিয়ানদের মতো চিকন হওয়ার উপায় হলো- ওজন ঠিক রাখতে প্রয়োজন মত খাওয়া দাওয়া এবং অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু শুধুমাত্র এগুলো করে আপনি আপনার ওজন কন্ট্রোল করতে পারবেন না।কেননা আমাদের দেশের মানুষ বেশিরভাগই অলস। আমাদের দেশের মানুষ অলসতা বেশি পছন্দ করে। কোরিয়ানরা তাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করে থাকে।
তারা তাদের শরীরের উপর প্রচুর যত্নশীল। বার্লি চা ঠান্ডা এবং গরম চা দুইভাবে খেয়ে থাকে। কোরিয়ানরা তাদের শরীর সুস্থ এবং ফিট রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। আমাদের ও অলসতা কাটিয়ে নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে, তাহলে সব সম্ভব। যদি পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে নিচে মন্ত্যব করতে পারেন।
আপনি দুর্দান্ত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url