গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এই বিষয় নিয়ে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। জীবনের সব পর্যায়েই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বিশেষভাবে জরুরী। সুষম খাবার সন্তানকে বেড়ে উঠতে, তাকে বিকশিত হতে এবং ওজন সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়.webp

সন্তান বুদ্ধিমান হবে, ভালো হবে-সুস্থ সবল হবে এমন স্বপ্ন সব মায়েরাই দেখে। মা যদি গর্ভাবস্থায় সঠিক মাত্রায় এসিড, ভিটামিন 'ডি', ভিটামিন 'এ' ইত্যাদি যদি না খান তাহলে কিছু কমতির সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে সন্তানের মধ্যেও সেটির প্রভাব পড়তে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। কিছু কিছু খাবার যা শুধু গর্ভাবস্থায় নয়। যখন থেকে বাচ্চা নেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন তখন থেকে খাওয়া উচিত। এই সমস্ত খাবারগুলো আপনার বাচ্চার আই. কিউ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। সন্তান জন্মের পরেও প্রয়োজনে পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে সন্তানের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারেন। সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার মস্তিষ্কের মাপ যেকোনো পূর্ণ বয়স্ক মানুষের তুলনায় ২৫% হয়। দুই বছর বয়সে ২৫% বেড়ে ৭৫% হয়। চলুন এবার গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় সেই খাবারগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ডিমঃ ডিমে রয়েছে এসিড কোলিন সমৃদ্ধ, যার ফলে সন্তানের মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয় এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের মধ্যে থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যাবে। ডিমে থাকা প্রোটিন এবং লোহা জন্মের সময় ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কম ওজনের সাথে কম বুদ্ধি বা আই. কিউ সাথে সম্পর্ক রাখে।

পালং শাক, মেদ ছাড়া মুরগির মাংস এবং বিনসঃ এই খাবারগুলো লোহা সমৃদ্ধ খাবার। যা আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে সাহায্য করবে। এই সমস্ত খাবার গুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোহা জাতীয় খাবার আপনার গর্ভের সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লোহা জাতীয় খাবার খেতে পারেন।

ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন 'ডি' বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক কিন্তু দুর্বল হয়। ডিম, চীজ, বিফ এবং লিভার ইত্যাদি খাবার আপনাকে ভিটামিন 'ডি' যোগাতে সাহায্য করবে।

আয়োডিনঃ বিশেষ করে আয়োডিনের অভাব গর্ভাবস্থায় প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আই.কিউ কমিয়ে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় নারীদের আয়োডিন যুক্ত লবণ খেতে হবে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুই এসব খাবার গুলো আয়োডিনের জন্য খেতে পারেন।

দইঃ দুই আপনার শরীরে প্রচুর পরিশ্রম করে আপনার সন্তানের স্নায়ু কোষগুলো গঠনের জন্য। এর জন্য আপনাকে বাড়তি কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। আপনাকে দই ছাড়াও প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। দইয়ের মধ্যে রয়েছে 'ক্যালসিয়াম' যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভবতী মহিলাদের সাধারণত স্বাভাবিক এর চেয়ে একটু বেশি ক্ষুধা পাই। এই সময়টা তাদের ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই চায় তার অনাগত সন্তানের গায়ের রং যেন উজ্জ্বল বা ফর্সা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে- খাদ্য নির্বাচনের উপর সন্তানের শরীরের বর্ণ নির্ভর করে না,  এটা নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে জিন পেয়েছে তার উপর। তবে কিছু কিছু খাবার ত্বক উজ্জ্বল করতে বা ফর্সা করতে সাহায্য করে থাকে। যেমন- 'গাজর' ত্বককে উজ্জ্বল এবং সুন্দর রাখে।

'কমলা' বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ত্বক ভালো রাখে। 'ডালিম' ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ভালো রাখে। 'এভোকাডো' এভোকাডোতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। বাচ্চা জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ ত্বকের এবং স্বাস্থ্যের সামগ্রিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। মায়ের দুধ বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি বচ্চাদের ত্বককে উজ্জ্বল রাখার একটি প্রাকৃতিক উপায়।

একটি শিশুর ত্বকের রং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রায় ২০ মাস বয়সে সম্পূর্ণ রূপে স্থির হয়ে যায়। জেনেটিক্সের প্রাকৃতিক কারণে, একজন শিশু অন্যজনের তুলনায় পিতা-মাতার মতো দেখতে বেশি হতে পারে। অথবা দুইজনের মতো দেখতে নাও হতে পারে। নবজাতক বাচ্চার ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট রং দেখা যায়। সকল সাইট্রাস ফলই সাধারণত বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভবতী মা চিত হয়ে থাকলে মৃত সন্তান প্রসব করার ঝুঁকি বেশি থাকে। "নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন"- গর্ভবতী মা চিত হয়ে শুয়ে থাকলে গর্ভস্থ বাচ্চার হৃদস্পন্দন নড়াচড়া কমে যায়। এর মাধ্যমে ইঙ্গিত দেয় যে অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে বাচ্চাটি খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। গর্ভকালীন সময় সেই তিন মাস গর্ভবতী মায়েদের কাত হয়ে ঘুমানো উচিত। ব্রিটেনে প্রায় এক হাজার নারীর উপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে- পিঠের উপর চিত হয়ে ঘুমালে মৃত সন্তান জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

গর্ভস্থ বাচ্চা রক্তনালী সঙ্গে যুক্ত থাকে। গর্ভধারণের তৃতীয় স্তরে বাচ্চার ওজন অনেক বেশি থাকে। গর্ভবতী মহিলা চিত হয়ে শুয়ে থাকলে রক্তনালীতে চাপ পড়ে এবং বাচ্চাটির শরীরে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। এটাই হচ্ছে অক্সিজেন কম পাওয়ার মূল কারণ। অনেক চিকিৎসক গর্ভবতী মহিলাদের বাম কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে। এতে করে মৃত বাচ্চা জন্মের উচ্চ ঝুঁকি, উচ্চ রক্তচাপ ব্যাধি এবং একটি জীবন হুমকিপূর্ণ যা গর্ভবতী মহিলাদের প্রভাবিত করে তার সাথে পিছনের এবং ডান দিকে ঘুমানোর সাথে যুক্ত করেছে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে বদহজম, ক্লান্তি এবং স্মৃতিশক্তি লোপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কম ঘুম যেমন হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। বেশি ঘুমও হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। যারা প্রতিদিন ৯ ঘন্টায় বেশি ঘুমান বিশেষ করে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ বেড়ে যায়। সচরাচর মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায় ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।গর্ভবতী মায়েদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। যাতে করে গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তানের কোনো ঝুঁকি না থাকে।

গর্ভবতী মহিলা কিভাবে খাবার তৈরি করবেন

খাবারের মধ্যে থেকে নানান ধরনের জীবাণু গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যেটা মা এবং বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি করবে। খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। রান্না করার পূর্বে অথবা কাঁচা খাওয়ার আগে সব ধরনের ফল এবং শাকসবজি ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে কোনো খাবারে ময়লা না লেগে থাকে। বাইরে থেকে আনা খাবার অথবা রান্না করা খাবার ফ্রিজ থেকে বের করার পর ঠিকমতো গরম না করে খাবেন না। ফ্রিজে বেশিদিন সংরক্ষণ করা খাবার খাবেন না। সব সময় টাটকা এবং ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়.webp

মাছ, মাংস কাটা-ধোঁয়ার করার জন্য আলাদা পাত্র রাখবেন। যাতে করে সেই পাত্রে ভুলবশত আপনি খাবার খেয়ে না ফেলেন।এতে করে আপনার শরীর নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করতে হবে। বাইরের জিনিস খাওয়া যাবে না। বাসায় টাটকা খাবার তৈরি করে খেতে হবে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। সব সময় স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে এবং পরিষ্কার করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান

গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে সব ধরনের পুষ্টি উপাদানের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। এজন্য অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট খাওয়ারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন- 'ফলিক এসিড' বাচ্চা নেওয়ার পূর্বে হতে সন্তান জন্মদানের তিন মাস পর্যন্ত আপনাকে দৈনিক মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে হবে। এতে করে বাচ্চার ব্রেইনের সাহায্য করবে পাশাপাশি নানান ধরনের জন্মগত ক্রটি প্রতিরোধ করবে।

'আয়রন' গর্ভাবস্থার শুরু থেকে প্রসবের পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত ৬০ মিলিগ্রাম করে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। এটি সঠিক সময়ের পূর্বে বাচ্চা জন্মদানের এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের বাচ্চা জন্মদানের মতো জটিলতার সম্ভাবনা কমায়। 'ক্যালসিয়াম' গর্ভাবস্থায় তিন মাসের পর থেকে প্রতিদিন দুই বেলা করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ভর পেটে খাওয়া ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন 'ডি' এবং ভিটামিন 'সি' সহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদানের জন্য ঔষধ সেবনের দরকার হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক দিনগুলোতে আনারস খাওয়া উচিত নয়। এর কারণ হলো আনোরসের মধ্যে ব্রোমেলেন নামক একটি এনজাইম থাকে। অতিরিক্ত ব্রোমেলেনের সাথে জরায়ুর রক্তপাত এবং অতিরিক্ত মাসিকের সম্পর্ক রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই গর্ভবতী মহিলাদের আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 'পেঁপে' - আধা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স যা গর্ভপাতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়.webp

গর্ভাবস্থায় না ধোয়া অথবা খোসা ছড়ানো ফল খাওয়া যাবেনা। গাছের ফলে নানা রকম জীবাণু থাকতে পারে। সবসময় ফলমূল ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে খেতে হবে। দোকান থেকে ফল কিনে আনার পর সরাসরি খাওয়া যাবেনা। কারণ দোকানের ফলে বিভিন্ন রকমের ফরমালিন মেশানো থাকে। তাই দোকান থেকে ফল আনার পর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে হবে। যাতে করে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এতে করে গর্ভবতী মহিলা এবং বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ফল খাওয়ার পূর্বে সবসময় ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ খাওয়া যাবে কি

শুটকি মাছের উপকারিতা হচ্ছে গর্ভবতী ক্ষীণকায় ব্যক্তির জন্য বেশ উপকারী। শুটকির মধ্যে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট এর উপাদান থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সোডিয়ামঃ সঠিক মাত্রায় সোডিয়াম থাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যারা হাইপার টেনশনে ভুগছেন তাদের জন্য শুটকি বেশ উপকারী। অন্যান্য প্রোটিনের তুলনায় শুটকি মাছে চর্বি কম থাকে যা তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। সুষম খাদ্য বজায় রাখতে শুটকি মাছ একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প উপায় তৈরি করে।

আমাদের দেশে শুটকি মাছ কম চর্বিযুক্ত হয়ে থাকে। যাদের চর্বিযুক্ত খাবারের সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্য তালিকার মধ্যে শুটকি মাছ রাখতে পারেন। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের জন্য শুটকি মাছ খুবই উপকার। আয়রনের জন্য সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে শুটকি মাছ। শুটকি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। একজন গর্ভবতী মহিলার দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি আয়রন দরকার হয়। তাদের জন্য শুটকি মাছ অত্যন্ত উপকারী। 

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়-শেষ কথা 

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এই বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সন্তান জন্মের পরেও প্রয়োজনে পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে সন্তানের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারেন। সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার মস্তিষ্কের মাপ যেকোনো পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ২৫% হয়। দুই বছর বয়সে ২৫% বেড়ে ৭৫% হয়। গর্ভবতী মা চিত হয়ে থাকলে মৃত সন্তান প্রসব করার ঝুঁকি বেশি থাকে। গর্ভবতী মা চিত হয়ে শুয়ে থাকলে গর্ভস্থ বাচ্চার হৃদস্পন্দন নড়াচড়া কমে যায়। এর মাধ্যমে ইঙ্গিত দেয় যে অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে বাচ্চাটি খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। গর্ভকালীন সময় সেই তিন মাস গর্ভবতী মায়েদের কাত হয়ে ঘুমানো উচিত।

কিছু কিছু খাবার যা শুধু গর্ভাবস্থায় নয়। যখন থেকে বাচ্চা নেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন তখন থেকে খাওয়া উচিত। এই সমস্ত খাবারগুলো আপনার বাচ্চার আই. কিউ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।সন্তান জন্মের পরেও প্রয়োজনে পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে সন্তানের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারেন। পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে নিচে মন্ত্যব করতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি দুর্দান্ত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url