বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন- কিভাবে ইনকাম করবেন সেই বিষয় নিয়ে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বর্তমানে প্রায় সবাই অনলাইনের দিকে ঝুঁকে আছে। এই অনলাইনে ঝুঁকে থাকাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের ইনকাম করতে হবে।
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন- বর্তমান যুগে অনলাইন থেকে
টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন ব্যাপার না। এখানে অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি
কোনো বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন
- বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন
- ফেসবুক থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
- ফ্রিতে লটারী খেলে ইনকাম করুন
- ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন ঘরে বসে
- MPL গেম খেলে ফ্রিতে টাকা ইনকাম
- জিতবো গেম খেলে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
- কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন
- ব্লগিং করে অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করুন
- অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় করুন
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
- বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন-শেষ কথা
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন- আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে আপনার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আপনাকে টেকনিক জানতে হবে। আপনি যদি টেকনিশিয়ান হন তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য। এখান থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে বিভিন্ন সেক্টরের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে সেক্টরের সবচেয়ে বেশি পারদর্শী হবেন সেই সেক্টরে ভালোভাবে কাজ করবেন।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট প্রচুর জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে অনলাইনে ইনকাম করা
অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। অনলাইনের মাধ্যমে অনেকেই বাড়িতে বসে হাজার হাজার টাকা
ইনকাম করছেন। অনলাইনে কিছু কিছু প্লাটফর্ম, রিসোর্স এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যেটাকে
কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এতে করে
আপনার কোনো ডিগ্রী প্রয়োজন হবে না। আপনার শুধু প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলেই
হবে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা ইনকাম
ফেসবুক থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টাকা ইনকামের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি
অনুসরণ করে থাকেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মার্কেটপ্লেসে
পণ্য বিক্রয় করা এবং মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ফেসবুকে
ইনকাম করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে একটি পেজের কোনো পোষ্টের গড়
রিচ প্রায় পাঁচ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ সালে ও সাত শতাংশ ছিল। কিন্তু যারা
বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সর বিষয়ের মাধ্যমে পে-টু-প্লে করেন, সময়ের সাথে
সাথে তাদের কিছু হ্রাস পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফেসবুকে প্ল্যাটফর্ম
ব্যবহার করে ইনকামের জন্য নতুন এবং সুন্দর কিছু উপায় তৈরি হয়েছে। যেমন-
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনঃ আপনার ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশনের যোগ্যতা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার ফেসবুক পেজে যখন কনটেন্ট পোস্ট করবেন, তখন অবশ্যই প্লাটফর্মের শর্তগুলো মেনে পোস্ট করবেন। যেমন-
- ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডঃ এটা হচ্ছে প্লাটফর্মের মৌলিক নিয়ম। কোনো বীভৎস অথবা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত কোনো পোস্ট করা যাবে না।
- পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসিঃ এই সমস্ত নিয়ম গুলো আপনার পেজের জন্য। আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট কিভাবে তৈরি করছেন এবং কোন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছেন এগুলো সম্পর্কে। আবার আপনি কিভাবে অর্থ আদান-প্রদান করছেন সেই বিষয়ে।
- কনন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসিঃ এগুলো হচ্ছে বিশেষ করে কনটেন্ট সম্পর্কিত নিয়ম। যেটি আপনার প্রতিটি পোস্ট করা কনটেন্ট এর জন্য। কোনো হিংসাত্মক অথবা অনিরাপদ কনটেন্ট আপলোড না দেওয়া।
এরপরে আপনি আপনার মনিটাইজেশন যোগ্যতা যাচাই করে নিবেন। একবার যদি আপনি ফেসবুক
কনটেন্টে মনিটাইজেশন পেয়ে যান। তারপরে আপনার ইনকাম নিয়মিত বজায় রাখতে সেই
নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে এবং সে যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে। তাহলে আপনি এখানে টিকে
থাকতে পারবেন এবং খুব সহজে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু
আপনাকে নিয়ম নীতি মেনে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এতে করে আপনার
ইনকামের একটি সহজ এবং সুন্দর মাধ্যম তৈরি হবে।
ফলোয়ারদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা ইনকামঃ ফেসবুকে সম্পত্তি এটি তাদের
প্ল্যাটফর্মের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ভিডিও কনটেক্ট এর উপর গুরুত্ব
দেবে। যাতে করে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে শুধু টিকটক পোস্ট শেয়ার না
করে। ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়
যেমন- রিলস তৈরি করে একটি নির্দিষ্ট ভিউয়ার্স তৈরি করতে হবে।নির্দিষ্ট
ভিউয়ার্স পূরণ হলে মাসে ৪০০০ মার্কিন ডলার ইনকাম করতে পারবেন। চ্যানেলটি
অবশ্যই ৩০দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। না হলে ফিচারটির মেয়াদ
শেষ হয়ে যাবে।
অনলাইনে পেইড ইভেন্টঃ আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক পেজে টাকার
বিনিময়ে ইভেন্ট পরিচালনা করতে পারেন। ফেসবুক পেজে ইভেন্টের
ফিচারটি আপনি আপনার পেজ দিয়ে ইভেন্টের সময় তৈরি করে, সেটি পরিচালনা করতে
পারবেন।
ফেসবুকে স্টোর তৈরি করে ইনকামঃ ফেসবুকে সোশ্যাল কমার্স ফিচারটির
মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে ক্রেতাদের সরাসরি আপনার স্টোরে নিয়ে যেতে পারেন।
বর্তমানে যেসব ব্র্যান্ডের ফেসবুকে একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি
দুর্দান্ত উপায়। যার মাধ্যমে স্ক্রল করে ঘুরে বেড়ানো ব্যবহারকারীদের
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পণ্যটি কেনার জন্য আগ্রহ করাতে পারেন।
মনে রাখবেন- ফেসবুকের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৯০
কোটি। ইনস্টাগ্রামে ১৩০ কোটি, টিকটকে ১০০ কোটি এবং টুইটারে ৩৯ কোটি ৬০
লাখ। অর্থাৎ অন্যান্য সকল প্লাটফর্মের তুলনায় ফেসবুকে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
সবচেয়ে বেশি। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর প্লাটফর্ম থেকে ইনকামের পদ্ধতি
কঠিন হলেও অসম্ভব কিছুই না।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার নিজস্ব একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। চ্যানেল তৈরি করে আপনি বেশ কয়েকটি মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন-ইউটিউব চ্যানেলে আপনার ভিডিওর মধ্যে যে কোন অংশে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।আবার কিছু টাকা খরচ করে আপনার চ্যানেলে মেম্বারশিপ নিতে পারবেন, মেম্বারশিপ নিলে সেখান থেকে আপনি খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্র্যান্ডগুলো থেকে আপনার কোনো ভিউয়ার্স প্রোডাক্ট কিনলে সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।ইউটিউব থেকে উপার্জনের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে ইউটিউবের দেওয়া শর্ত গুলো মেনে চলতে হবে। এর সাথে আপনার চ্যানেলে কিছু টার্গেট পূরণ করতে হয় সেগুলি হচ্ছে-
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল অবশ্যই ৪০০০ ঘণ্টা ভিউ কাটতে হবে।
- এই দুটি শর্ত এক বছরের মধ্যেই পূরণ করতে হবে।
- এর পাশাপাশি তিন মাসেই ইউটিউব শর্ট ভিডিওতে ১০ লাখ ভিউ থাকতে হবে।
- আপনার চ্যানেলে কোনো ধরনের কপিরাইট বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড থাকা যাবে না।
- ইউটিউব এর কোনো নিয়ম-নীতি ভাঙ্গা যাবে না।
ফ্রিতে লটারী খেলে ইনকাম করুন
কয়েকটি উপায়ে আপনি সম্পূর্ন্ন ফ্রিতে লটারি খেলে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে এবং বুদ্ধি খাটাতে হবে। তাহলেই আপনি ফ্রীতে লটারি খেলে ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ কিছু উপায়ে এটি করা যায়। সে বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করবো। চলুন এবার আলোচনা করা যাক।
রেফার করে বোনাসঃ আপনারা জানেন যে রেফারের মাধ্যমে সব কোম্পানি থেকে বিশেষ ভাবে বোনাস দিয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে বেশ কিছু ই-মেইল আইডি খুলে নিতে পারেন। যাতে করে সামান্য ইনভেস্ট করলেই মেইন একাউন্টে রেফারেল বোনাস পেয়ে যান।
সাইন আপ বোনাসঃ প্রায় অনেক কোম্পানি থেকেই সাইনআপ বোনাস দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই কোম্পানি গুলো একটা নির্ধারিত সময় দিয়ে থাকে। সেই সময়ের মধ্যে আপনি সাইনআপ বোনাস পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে যেই কোম্পানি গুলো বজারে নতুন আসে সাধারণত সেই কোম্পানি গুলো সাইনআপ বোনাস দিয়ে থাকে। আপনাকে সেই বিষয়ে একটু নজর রাখতে হবে কোন কোম্পানি গুলো নতুন আসছে আর বোনাস দিচ্ছে।
ফ্রি স্পিনঃ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ফ্রি স্পিন বোনাস দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই কোম্পানি গুলোতে ফ্রী স্পিন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি সেখান থেকে টাকা পেলে বিকাশ এর মাধ্যমে বের করে আবার ইনভেস্ট করে রাখতে পারেন,যাতে করে আবার আরো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন ঘরে বসে
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে পরিচিত নন এমন কোনো ব্যক্তি
নেই। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন ইনকামের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম
হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অফিসে যেতে হয় না বাসায়
বসে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি কোনো রকম চাকরি ছাড়াই
টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
মাধ্যম। বর্তমানে গোটা বিশ্বেই ফ্রিল্যান্সিং প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা
পেয়েছে যার ফলে এর চাহিদা রীতিমতো আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছে।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান, ধারণা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয়ের উপর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে বিভিন্ন রকমের কাজ অথবা প্রজেক্ট দিবে। সেগুলো যদি আপনার আওতার মধ্যে হয় তাহলে আপনি সে কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন-ডিজাইনিং, কনটেন্ট রাইটিং, ডেভলপিং, ডাটা এন্ট্রি, সেলিং সার্ভিস এগুলা সহ আরো অনেক রকমের কাজ রয়েছে। এখানে আপনাকে কোনো নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ করতে হবে না।
আপনি আপনার সুবিধা মত ঘন্টা/দিন/সপ্তাহ অথবা মাস হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
কিন্তু আপনাকে ক্লাইন্টকে দেওয়ার সময় মতো কাজটি তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
বর্তমানে মানুষ কোনো ব্যক্তির অধীনে অথবা কোনো কোম্পানিতে কাজ না
করে, মুক্ত এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। সেজন্য বর্তমানে অনেক
মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ
কাজে অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়। যার ফলে মানুষ কাজগুলো ঘরে বসে করতে
পারে। পরিশ্রমও কম হয় এবং কাজও বেশি করা যায় ফলে ইনকাম বেশি হয়।
ফ্রিল্যান্সিং করে কি আয় করা সম্ভব? আসলে একটি নির্ভর করছে পুরো আপনার
নিজের উপর। আপনি আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কিভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি আপনার দক্ষতা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলে এখান থেকে
সহজে ইনকাম করতে পারবেন। কোনো মাসে বিশ হাজার আমার কোনো মাসে দুই
লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে আপনার দক্ষতা, জ্ঞান এবং
অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে,সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি সফলতার দেখা
পাবেন এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।
আপনি চাইলে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ অথবা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে
পারেন। তবে মোবাইল দিয়ে শুরু করলে কাজের পরিমাণ একটু কম হয়ে যাবে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় যার ফলে ল্যাপটপ অথবা
কম্পিউটার হলে সবচেয়ে ভালো হয়। এরপরে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে।
কারণ আপনাকে কাজ খোঁজা থেকে ক্লাইন্টকে কাজ জমা দেওয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই আপনার
ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকামের জন্য নতুন
প্রজেক্ট বা কাজের দরকার হবে।
ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেওয়ার জন্য আগে আপনার বিষয়ে যে জানতে চাইবে। তার
জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে।
ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস ইত্যাদি
জায়গা গুলোতে আপনার সম্পর্কে প্রচার করতে হবে। কারন আপনাকে বুঝাতে হবে যে আপনি
কোন কোন বিষয়ে এক্সপার্ট। তাহলে ক্লায়েন্টের যেই বিষয়ে কাজ প্রয়োজন হবে।
আপনার দক্ষতা দেখে সেই বিষয়ে আপনি পারদর্শী হলে আপনাকে কাজটি দিবে। একটি
ভালোভাবে সম্পূর্ণ করে জমা দিতে পারলে ক্লায়েন্টদের থেকে খুব সহজেই আপনি
ইনকাম করতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে আপনার লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। আপনি কোন কোন বিষয় নিয়ে কাজ
করবেন বা করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। আপনি
যে বিষয়গুলোর বেছে নিবেন সেইগুলো সম্পর্কে আপনাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান
থাকা লাগবে। আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন সেগুলো মার্কেটপ্লেস কিরকম
চাহিদা সে সম্পর্কেও জানতে হবে। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী হবেন সেই বিষয়টা বেছে
নিবেন, যাতে করে ভালোভাবে কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে পারেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে
কাজটি করতে পারেন। কোন বিষয়ে কেমন ইনকাম সবকিছুই জানতে হবে।
এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে, আপনাকে আপনার লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে যদি আপনি একবার সবকিছু বুঝে কাজ করতে পারেন, তাহলে সেখান
থেকে পরবর্তীতে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং
করতে পারেন, ওয়েব সাইট বিক্রি করতে পারেন, কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন,
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন ইত্যাদি কাজগুলো করে আপনি খুব সহজেই ইনকাম
করতে পারবেন। তাই দেরি না করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন এবং ঘরে বসে
আপনার ইনকামের রাস্তা তৈরি করুন।
MPL গেম খেলে ফ্রিতে টাকা ইনকাম
আপনারা অনেকেই জানেন না কোন সাইটের মাধ্যমে ফ্রিতে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। ভারতের সবচেয়ে বড় মোবাইল গেমিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে Mobile Premier League (MPL) এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনারা বাজি ধরে সহজেই ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এই অ্যাপটির মধ্যে পেইড গেম গুলো খেলতে পারবেন। গেম খেলে যত বেশি স্কোর করতে পারবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই গেম খেলে যদি বেশি স্কোর করতে পারেন, তবে লক্ষ লক্ষ টাকার পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। আপনারা হয়তো বুঝতেই পারছেন কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এই গেমটি খেলে। এই প্লাটফর্মটি অনেক বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে লাখ লাখ মানুষ গেম খেলে টাকা ইনকাম করছেন। তাই আপনারা যারা বাজি অথবা গেম খেলতে পছন্দ করেন। তারা এপস টি নামিয়ে গেম অথবা বাজি খেলা শুরু করতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারবেন।
জিতবো গেম খেলে টাকা ইনকাম
আপনারা যদি বাংলাদেশের ফ্রী লটারি অ্যাপ সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে আপনাদের জন্য এই জিতব অ্যাপসটি হতে পারে একদম বিশ্বস্ত। এখানে আপনি যেকোনো ধরনের লটারি টিকিট কাটতে পারবেন। সেই লটারি জিতলে আপনি রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। লটারি কিনার জন্য আপনাকে কোনো রকম টাকা পেমেন্ট করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রিতে খেলতে পারবেন।
আপনি ফ্রিতে লটারি কেটে, লটারি জিতলে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। লটারি জেতার পর যে টাকা পাবেন। সেই টাকা দিয়ে আপনি বিভিন্ন লটারিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।এভাবে চাইলে আপনি বাংলাদেশী ফ্রী লটারি অ্যাপস জিতবোর মাধ্যমে লটারি গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ভালোভাবে খেলতে পারেন তাহলে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।
অনলাইনে ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
এই মাধ্যমে আপনাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সকল লটারির সাইটগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তবে এগুলোর মধ্যে সবসময়ই ফ্রিতে খেলতে বা লটারি নিতে পারবেন না। এইগুলো ফ্রী করার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। সেগুলো সকল কিছু আমরা নিচের অংশে আলোচনা করব। তাই একটু ভালোভাবে পুরোটা পড়বেন।
WinZo ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকামঃ এই অ্যাপসটি একটি জনপ্রিয় বেটিং অথবা ক্যাসিনো ওয়েবসাইট। এখানে আপনি ইনভেস্ট করেও ইনকাম করতে পারবেন। আবার চাইলে একটি বিশেষ উপায় নিয়ে ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে গেম খেলে বা বাজি ধরে খুব সহজে ইনকাম করে নিতে পারবেন।
1xbet থেকে লটারী খেলে ইনকামঃ এটা একটি বহুল জনপ্রিয় গেম বা বাজি ওয়েব সাইট। এখানে আপনি জুয়া খেলতে পারবেন। আপনি যদি ভালো করে খেলতে পারেন তাইলে এখান থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখান থেকে অনেক মানুষ লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে থাকেন। তবে এখানে ইনভেস্ট করে আপনি সব চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিতে এতো টাকা ইনকাম হবে না অল্প হবে।
কয়েকটি উপায়ে আপনি সম্পূর্ন্ন ফ্রিতে লটারি খেলে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে এবং বুদ্ধি খাটাতে হবে। তাহলেই আপনি ফ্রীতে লটারি খেলে ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ কিছু উপায়ে এটি করা যায়। সে বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করবো। চলুন এবার আলোচনা করা যাক।
রেফার করে বোনাসঃ আপনারা জানেন যে রেফারের মাধ্যমে সব কোম্পানি থেকে বিশেষ ভাবে বোনাস দিয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে বেশ কিছু ই-মেইল আইডি খুলে নিতে পারেন। যাতে করে সামান্য ইনভেস্ট করলেই মেইন একাউন্টে রেফারেল বোনাস পেয়ে যান।
সাইন আপ বোনাসঃ প্রায় অনেক কোম্পানি থেকেই সাইনআপ বোনাস দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই কোম্পানি গুলো একটা নির্ধারিত সময় দিয়ে থাকে। সেই সময়ের মধ্যে আপনি সাইনআপ বোনাস পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে যেই কোম্পানি গুলো বজারে নতুন আসে সাধারণত সেই কোম্পানি গুলো সাইনআপ বোনাস দিয়ে থাকে। আপনাকে সেই বিষয়ে একটু নজর রাখতে হবে কোন কোম্পানি গুলো নতুন আসছে আর বোনাস দিচ্ছে।
ফ্রি স্পিনঃ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ফ্রি স্পিন বোনাস দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই কোম্পানি গুলোতে ফ্রী স্পিন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি সেখান থেকে টাকা পেলে বিকাশ এর মাধ্যমে বের করে আবার ইনভেস্ট করে রাখতে পারেন,যাতে করে আবার আরো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন
বর্তমানে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে একজন কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে কন্টেন্ট বানানোর অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। পাঠক কেমন বিষয় পড়তে চাই সেই বিষয়ে লিখতে হবে। আর লিখার স্কিল অনেক ভালো হতে হবে। যাতে করে পাঠক আপনার কন্টেন্ট পরে খুশি হয় এবং আবার প্রতিনিয়ত আপনার কন্টেন্ট সে পড়ে।
এতে করে আপনার কন্টেন্ট এ পাঠক বাড়বে। পাঠক বাড়লে আপনার ইনকাম বাড়তে থাকবে। আপনার পাঠকের মন জয় করার মতো ভাষা লিখতে হবে যাতে করে সে পোস্টটি পড়ে এবং সে সহজেই বুঝতে পারে। এতে করে কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনি অনায়াসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু দক্ষ হতে হবে। তাহলেই সহজে কন্টেন্ট লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং বলতে বুঝানো হচ্ছে, মানুষ যে বিষয়ে জানার জন্য
গুগলে সার্চ করে বা যেটা জানার জন্য মানুষের কৌতূহল বেশি। মানুষ যেসব
বিষয়গুলো নিয়ে সব সময় গুগলে বা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে প্রয়োজনের জিনিস
খুঁজে থাকে সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে, এবং সেই বিষয়গুলো টার্গেট
করে কনটেন্ট লিখতে হবে। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস করেছি যেখানে
কনটেন্ট লিখে ইনকামকরতে পারবেন। যেমন-ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার
ইত্যাদি। মার্কেট প্লেসে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন যে একজন কন্টেন্ট রাইটারের
চাহিদা কি রকম।
অসংখ্য মানুষ বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং করে মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম
করছে। আপনাকে ভালোভাবে বুঝে সুন্দর ভাষায় কনটেন্ট লিখতে হবে। আপনার কনটেন্ট
যদি পাঠকের পছন্দ হয়, তাহলে সেই পাঠক প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন
এতে করে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকবে। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর আসবে তত বেশি
ইনকাম হবে। এবং আপনি সহজেই ফাইবারে কাজ পাবেন।
ব্লগিং করে অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করুন
বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে ব্লগিং করে ইনকাম করা খুবই জনপ্রিয় এবং
অন্যতম একটি উপায়। ব্লগিং করে অনেক মানুষ মাসে লক্ষাধিক টাকা
ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে ব্লগিং করে অনলাইনে মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। এর জন্য আপনাকে সুন্দর করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেখানে
লেখালেখি করবেন, লেখালেখি করে ইনকাম করতে আপনার টাকা খরচ করা লাগবে না। কিন্তু
আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী করতে চান তাহলে আপনাকে একটি ডমেইন কিনে কাজ করতে হবে। আপনি
চাইলে ব্লগারদের ফ্রিতে করতে পারবেন।
ব্লগিং করার জন্য ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অথবা অন্য কোনো অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে মনিটাইজেশন করে নিতে হবে। তবে আপনি আপনার কনটেন্টে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। বর্তমানে ব্লগাররা এডসেন্স থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণ টাকা
অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় করুন
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন-শেষ কথা
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করুন- আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে আপনার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আপনাকে টেকনিক জানতে হবে। আপনি যদি টেকনিশিয়ান হন তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য। এখান থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে নিচে মন্ত্যব করতে পারেন।
আপনি দুর্দান্ত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url