ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি - সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। এই পোস্টের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে কিভাবে লোন করা যায়, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি নিয়ে অনেকের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে, অনেকেই ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, ইসলামী ব্যাংকগুলোর লোন দেওয়ার পদ্ধতি সাধারণ ব্যাংক গুলোর থেকে অনেকটাই আলাদা।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আজকের পোস্ট পড়ে যা যা জানতে পারবেন
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক কত টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে
- ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক থেকে ফ্রিল্যান্সিং লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি-শেষ কথা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি
সাধারণত ইসলামী ব্যাংকের সুদের (মুনাফা) বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকগুলোর মতো সুদের মাধ্যমে লোন দিয়ে থাকে। কিন্তু, সেই বিষয়টা আসলে আলাদা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি একটু অন্যরকম। কেননা, এখানে সুদ নেওয়া হয় না। ইসলামী ব্যাংকে মুনাফার উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ ভিত্তিক এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোও সুদযুক্ত লেনদেন করে থাকে। বাংলাদেশে ১০০% সুদমুক্ত কোনো ব্যাংক পাওয়া যাবে না। কিন্তু, ইসলামী ব্যাংকগুলো সুদমুক্ত থাকার চেষ্টা করে। বাস্তবতার কারণে শতবার সুদ মুক্ত হতে পারে না। ইসলামী ব্যাংক সাধারণত মুনাফার উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করে থাকে। এর মানে হচ্ছে, ইসলামী ব্যাংক লোন প্রদান করবে কিন্তু তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ নিবে। এই লাভ করাকে ইসলামী শর্তে (মুনাফা) বলা হয়।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি হচ্ছে আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান, তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি রাখতে হবে। যেমন- প্রমাণপত্র, পরিচয় পত্র, আয়কর রিটার্ন ইত্যাদি কাগজপত্র লাগবে। এরপর শর্ত অনুযায়ী আপনাকে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। ইসলামিক ব্যাংক সেটি পর্যালোচনা করে সবকিছু ঠিকঠাক পেলে, আপনাকে লোন প্রদান করবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক সাধারণত কৃষকদের উন্নয়ন এবং কৃষি খাতে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখার জন্য, কৃষি লোন প্রদান করে থাকে। ইসলামী ব্যাংকের কৃষি লোন পদ্ধতির মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতী, গৃহিণী, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ব্যবসায়ী এই সমস্ত সাধারণ মানুষের জন্য ইসলামী ব্যাংকের কৃষি লোন পদ্ধতি অত্যন্ত সুবিধা জনক। সাধারণত যাদের আয় মাসে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তারা ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি তুলতে পারবেন।
- কেউ যদি খামার অথবা এক বিঘা এর বেশি জায়গায় চাষাবাদ করার জন্য লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে কোনো জামানত না দিয়ে, ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
- কেউ যদি জামানত ছাড়া লোন নিয়ে, কোনো কারণে পরিশোধ করতে না পারলে লোন গ্রহণকারীর স্থাবর সম্পত্তির সমপরিমাণ টাকা হিসেবে ইসলামী ব্যাংক আইনি ব্যবস্থা নেবে অথবা দখল করতে পারবে।
- কৃষি লোনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অনুপাত হবে ৮০ঃ২০। ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিলে, বার্ষিক ৯% হারে লোন পরিশোধ করতে হবে।
- বাই-মুরাবাহা, বাই-মুরাবাহা টি আই, বাই-মুয়াজ্জাল পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদী লোন নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি লাগবে।
- আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংকের কৃষি লোন অথবা খামার লোনের ফরমটি পূরণ করতে হবে।
- TIN সার্টিফিকেট লাগবে।
- আপনার ইসলামী ব্যাংকে একাউন্টের ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
- আপনার ইসলামী ব্যাংকে একটি সেভিংস একাউন্ট থাকতে হবে।
- Utility বিলের কপি। যেমন- বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি।
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে একটি বহুল জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকদের সকল ধরনের ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। সকল ধরনের ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে, প্রবাসী লোনের পদ্ধতি। ইসলামী ব্যাংক সাধারণত বাংলাদেশের বাইরে যারা কাজ করে ইনকাম করছে, তাদের জন্য প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকে। সকল ব্যাংকেরই নিজস্ব নিয়ম-নীতি এবং শর্তাবলী থাকে। ইসলামী ব্যাংকের ও নিজস্ব নিয়ম-নীতি এবং শর্তাবলী রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে আলোচনা করা যাক-
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য, অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য, অবশ্যই আপনার একটি বৈধ ভিসা লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য, আপনি বিদেশে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির সাথে চুক্তিপত্রের ফটোকপি লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য, আপনি বিদেশে যে কোম্পানিতে বা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেখান থেকে যে বেতন পেয়ে থাকেন এবং সেই কোম্পানি থেকে যে বেতনের স্লিপ আপনাকে প্রদান করা হয়। বিদেশে সেই কোম্পানি থেকে, আপনি সর্বশেষ যে বেতনের স্লিপ পেয়েছেন, সেই স্লিপের একটি ফটোকপি লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে হলে, আপনি আপনার যে একাউন্টে লেনদেন করছেন সেই লেনদেনের সর্বশেষ কয়েক মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে হলে, ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম এবং শর্ত অনুযায়ী আপনাকে জামানত হিসেবে কিছু প্রদান করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক কত টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে
ইসলামী ব্যাংক সাধারণত আপনার মাসিক ইনকামের উপর ভিত্তি করে আপনাকে লোন
প্রদান করবে। আপনার যদি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম হয়, তাহলে আপনি ইসলামী
ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। আপনার মাসিক ইনকাম যদি ২০
হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে
৩ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন তুলতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক কত টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে, সেটি নির্দিষ্টভাবে বলা
সম্ভব হয় না। ইসলামী ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন তুলতে
পারবেন, সেটি নির্ভর করবে আপনার মাসিক ইনকামের উপর। আপনার মাসে
ইনকাম যত বেশি হবে, তার উপর নির্ভর করে তত বেশি টাকা আপনি ইসলামী
ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য, ইসলামী
ব্যাংকে আপনার ছয় মাসের একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম লোন পদ্ধতি
সাধারণত পুরনো বাড়ি সংস্থার জন্য অথবা নতুন বাড়ি তৈরির জন্য, আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে পারবেন। আপনার সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে নতুন বাড়ি তৈরির জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এবং পুরাতন বাড়ির সংস্থার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা হোম লোন নিতে পারবেন।ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে, অবশ্যই সচ্ছল দুইজন ব্যক্তি গ্যারান্টেড থাকতে হবে। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। যেমন-
- জমির দলিল এবং খতিয়ান নাম্বার লাগবে।
- গ্যারান্টারের কিছু ডকুমেন্ট লাগবে।
- আপনার বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট লাগবে।
- খতিয়ান নামধারী রশিদ লাগবে।
উক্ত নিয়ম-নীতিগুলো মেনে ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি লোন নিতে
পারবেন। তবে, নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে লোন পরিশোধ করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক লোন পদ্ধতি
একটি দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যবসা এবং বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবদান
থাকে। বাংলাদেশকে ব্যবসা খাতে আরো বেশি উন্নত করার জন্য, ইসলামী
ব্যাংক ব্যবসায়ীদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য লোন প্রদান করে থাকে। আপনি খুব সহজ
শর্তে ব্যবসা করার জন্য, অল্প কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে
ইসলামী ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক লোন গ্রহণ করতে পারবেন। প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্টগুলো হচ্ছে-
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ছবি লাগবে।
- ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়-ব্যয় হিসাবের তথ্য লাগবে।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দলিল লাগবে।
- গ্যারান্টারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে।
উক্ত নিয়-নীতিগুলো মেনে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক লোন নিতে
পারবেন। তবে, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী লোন পরিশোধ করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে ফ্রিল্যান্সিং লোন পদ্ধতি
বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা
হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের তরুণেরা ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে অনেক
রেমিটেন্স নিয়ে আনে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা
পালন করছে।ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য আগ্রহ বৃদ্ধিতে এবং ফ্রিল্যান্সারদের
সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিং লোন প্রদান করছে। ইসলামী ব্যাংক
থেকে ফ্রিল্যান্সিং লোন নিয়ে, যেকোনো ধরনের ট্রেনিং এর পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স
জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং লোন নিলে দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ
করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য লোন গ্রহণ করতে। বেশ কিছু
তথ্যর কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। যেমন-
- ফ্রিল্যান্সিং সনদ "যে প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন, সেখান থেকে যে সার্টিফিকেট" দেওয়া হবে সেটি লাগবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে।
- যে প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ট্রেনিং নিচ্ছেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্ট লাগবে।
- জমি জমা সংক্রান্ত কাগজপত্র/দলিল লাগবে, যার দাম কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা হতে হবে।
উক্ত নিয়-নীতি মেনে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর
জন্য লোন গ্রহণ করতে পারবেন। তবে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী লোন পরিশোধ
করতে হবে। এবং তাদের নিয়ম নীতিগুলো মেনে লোন নিতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি-শেষ কথা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকগুলোর মতো সুদের মাধ্যমে লোন দিয়ে থাকে। কিন্তু, সেই বিষয়টা আসলে আলাদা। ইসলামী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি একটু অন্যরকম। কেননা, এখানে সুদ নেওয়া হয় না। ইসলামী ব্যাংক মুনাফার উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করে থাকে।
আপনি দুর্দান্ত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url