শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা সর্ম্পকে অনেকেই ভালোভাবে জানেন না। শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে শরীরচর্চা খেলাধুলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে এই পোস্টের মধ্যে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।


শরীরচর্চা-ও-খেলাধুলার-উপকারিতা.webp

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা হচ্ছে- হৃদরোগ, সংবহনতন্ত্রের জটিলতা, ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটানো যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলার ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ থেকে সুস্থ থাকা যায় এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা 

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা

শরীর চর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিষয়টি শরীর ও মনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা অত্যন্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তাদের খেলাধুলা করা অত্যন্ত জরুরি। খেলাধুলা করার মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি নিরাময় করা যায়। আপনি যদি নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করেন তাহলে, শরীর এবং দেহের কার্যক্রম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার জীবনে একটা শান্তি অনুভব হবে এবং সুস্থ সবল থাকতে পারবেন।

আপনি যদি প্রতিদিন রুটিন করে টাইম মত খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা করেন তাহলে আপনার মনের ভিতরে চিন্তা এবং দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে। মনের মধ্যে নানান ধরনের অশান্তি গুলো কমতে থাকবে। তাই আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় বেছে নিয়ে, প্রতিদিন সময় মতো খেলাধুলা করতে হবে এবং শরীরচর্চা করতে হবে। এতে করে আপনার শরীরের নানান ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।

শরীরচর্চা-ও-খেলাধুলার-উপকারিতা.webp

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা যায় এবং নানান ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখা যায়। সামাজিক, মানসিক, আবেগিক এবং নৈতিক বিকাশ তৈরি হয় শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে। বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। লেখাপড়ায় সুন্দর প্রভাব পড়ে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করা যায়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম এবং ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো দূর করা যায়। খেলাধুলা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার সময় দুর্ঘটনা

শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। আপনি যদি খেলাধুলার সময় অমনোযোগী থাকেন তাহলে, যে কোনো সময় আঘাত এবং দুর্ঘটনা হতে পারে। আপনাকে খেলাধুলা করার সময় মনোযোগী হতে হবে এবং সতর্কতা ও সচেতনতার সাথে খেলাধুলা করতে হবে। সব সময় শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করা ঠিক নয়। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট টাইমে শরীরচর্চা করতে হবে। আবার প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে খেলাধুলাও করতে হবে।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করার সময় সচেতন থাকতে হবে। যাতে করে আপনার শরীরে কোনো জায়গায় আঘাত না পান এবং বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। খেলাধুলা এবং শরীর চর্চার সময় সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে হাতে পায়ে ব্যথা পাওয়া। মাঝে মাঝে পা মচকে যায়। এমনকি মাঝে মাঝে বড় আঘাত পেলে পা অথবা হাত ভেঙ্গে যায়। সে জন্য শরীরচর্চা ও খেলাধুলার সময় সতর্ক এবং মনোযোগী থাকতে হবে।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করার প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান স্কুল থেকে শুরু করে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যেভাবে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের উপর ঝুঁকে পড়েছে, তাতে করে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ জাতি অপেক্ষা করছে। বর্তমানে ছেলে মেয়েরা এখন মাঠে খেলাধুলা করতে যেতে চায় না। তারা সবসময় ঘরে বসে বা যেখান সেখানে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছে, অযথা সময় নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীরা এখন বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে কাটাতে চাই, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বর্তমানে আমাদের দেশে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা কমে যাচ্ছে, যার ফলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ সহ আরো নানা ধরনের মানসিক শারীরিক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য, এবং সুস্থ-সবল জীবন যাপনের জন্য শরীর চর্চা ও খেলাধুলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমেই মোবাইল ফোনের আসক্তি এবং বিভিন্ন বদ অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসা যাবে। তাই শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের সবার প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে হবে।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলাতে শিশুর অধিকার

আল্লাহ তা'আলা অনেক সুন্দরভাবে আমাদের শারীরিক অবকাঠামো তৈরি করেছেন। অতঃপর সুস্থ, সবল থাকার জন্য, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, বিনোদন, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবকিছুর ব্যবস্থা করেছেন। শিশুদের শরীরচর্চা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য সুযোগ করে দিতে হবে অভিভাবকদের। খেলাধুলার করার ক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে সন্তানের উপর সজাগ থাকতে হবে। কেননা কিছু কিছু খেলা আছে যেগুলো শিশুদেরকে বেপথে নিয়ে যায়। যেমন- তাস, জুয়া, দাবা, ক্যারাম এবং লুডু ইত্যাদি খেলা গুলো থেকে বিরত রাখতে হবে।

শরীরচর্চা-ও-খেলাধুলার-উপকারিতা.webp

যেগুলো খেলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক পরিশ্রম হবে এবং শারীরিক দুর্বলতা গুলো দূর হবে এই সমস্ত খেলা গুলো খেলাতে শিশুদের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। যেমন- দৌড়, সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলা গুলোতে অভ্যস্ত করতে হবে। শিশুদের উপর যত্ন নেওয়া এবং শরীরচর্চা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তবে পড়াশোনা এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মধ্যে শিশুদের রাখতে পারলে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবেএবং তাদের শরীরের দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা-শেষ কথা

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিষয়টি শরীর ও মনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা অত্যন্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তাদের খেলাধুলা করা অত্যন্ত জরুরি। খেলাধুলা করার মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি নিরাময় করা যায়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা যায় এবং নানান ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখা যায়। সামাজিক, মানসিক, আবেগিক এবং নৈতিক বিকাশ তৈরি হয় শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে। বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। লেখাপড়ায় সুন্দর প্রভাব পড়ে।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। আপনি যদি খেলাধুলার সময় অমনোযোগী থাকেন তাহলে, যে কোনো সময় আঘাত এবং দুর্ঘটনা হতে পারে। আপনাকে খেলাধুলা করার সময় মনোযোগী হতে হবে এবং সতর্কতা ও সচেতনতার সাথে খেলাধুলা করতে হবে। সব সময় শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করা ঠিক নয়। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট টাইমে শরীরচর্চা করতে হবে। আবার প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে খেলাধুলাও করতে হবে।

বর্তমান স্কুল থেকে শুরু করে কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যেভাবে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের উপর ঝুঁকে পড়েছে, তাতে করে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ জাতি অপেক্ষা করছে। বর্তমানে ছেলে মেয়েরা এখন মাঠে খেলাধুলা করতে যেতে চায় না। তারা সবসময় ঘরে বসে বা যেখান সেখানে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছে, অযথা সময় নষ্ট করছে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমেই মোবাইল ফোনের আসক্তি এবং বিভিন্ন বদ অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসা যাবে। আমাদের সবার প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে হবে।

খেলাধুলার করার ক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে সন্তানের উপর সজাগ থাকতে হবে। কেননা কিছু কিছু খেলা আছে যেগুলো শিশুদেরকে বেপথে নিয়ে যায়। যেমন- তাস, জুয়া, দাবা, ক্যারাম এবং লুডু ইত্যাদি খেলা গুলো থেকে বিরত রাখতে হবে। যেগুলো খেলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক পরিশ্রম হবে এবং শারীরিক দুর্বলতা গুলো দূর হবে এই সমস্ত খেলা গুলো খেলাতে শিশুদের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। যেমন- দৌড়, সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলা গুলোতে অভ্যস্ত করতে হবে। শিশুদের উপর যত্ন নেওয়া এবং শরীরচর্চা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি দুর্দান্ত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url